প্রাচীর ভারত বর্ষের বিখ্যাত একটি হাটের নাম গোপেন্দ্রগঞ্জহাট। আর গোপেন্দ্রগঞ্জ হাটের পশ্চিম দিকে অবস্থিত বর্তমান খঞ্জনপুর অঞ্চলে রাজা জয়পাল বাস করতেন। তার নামানুসারে তখন ঐ অঞ্চলের নাম করণ জয়পুর করা হয়। ব্রিটিশ আমলে দার্জিলিং থেকে কলকাতা পর্যন্ত যে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়, তা জয়পুরহাটের উপর দিয়েই হয়। ফলে সে সময় জয়পুরহাট রেল ষ্টেশন অনেক গুরুত্ব লাভ করে। কালের বিবর্তনে গোপেন্দ্রগঞ্জহাট এক সময়ে জয়পুরহাট নামে পরিচিত লাভ করে। এই জয়পুরহাট অবিভূক্ত ভারত বর্ষের বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার পাঁচবিবি থানার বগুড়া জেলার অন্তর্ভূক্ত ছিলো। এলাকার গুরুত্ব এবং সমগ্র দেশের সাথে যোগাযোগের সুবিধার্থে এক সময় পাঁচবিবি থানাকে বগুড়া জেলার অন্তর্ভূক্ত এবং জয়পুরহাটকে নতুন থানা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে বগুড়া জেলার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। পরবর্তীতে জয়পুরহাট থানার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় বগুড়া জেলার একটি মহকুমা হিসাবে জয়পুরহাট থানাকে মান উন্নীত করা হয়। দেশ স্বাধীনের পর নগরায়ন ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসাবে জয়পুরহাটের গুরুত্ব বেড়ে গেলে ১৯৭৫ সালের ৮ই জানুয়ারী ২০.৭২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে জয়পুরহাট পৌরসভা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে পৌরসভার গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯ শে জুন ১৯৯১ সালে জয়পুরহাট পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে ৯টি ওয়ার্ড এবং ১০৬৭২৯ জন জনগোষ্ঠি নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান।